ধেয়ে আসছে শত বছর এর ইতিহাস এর সব চেয়ে ভয়ংকর সোলার ঝড়। প্রায় এক শত বছর এর ও বেশী সময় পর আবার ও পৃথিবী সম্মুখীন হতে যাচ্ছে এমন এক সৌর ঝড় এর। ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে সারা বিশ্ব। এমনকি বন্ধ হয়ে যাতে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ব্যাবস্থা কয়েক সপ্তাহ এর জন্য। আজ এ বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো তো চলুন শুরু করা যাক।
সোলার ঝড় কি ?
সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মির ঘনী ভূত হয়ে সৌর জগৎ এ আছড়ে পড়ার ঘটনা কেই বলা হয় সোলার ঝড়। সোলার ঝড় থেকে নির্গত ক্ষতি কর ইউভি রশ্মি তার পথে বাধাগ্রস্ত হওয়া সকল কিছুর উপর প্রভাব বিস্তার করে।
সোলার ঝড় কেনো হয় ?
আমরা সকলেই জানি যে সূর্য হচ্ছে একটি অতিকায় গোলাকার জলন্ত গ্যাস এর কুন্ড এই জলন্ত গ্যাস এর কুন্ড হতে নির্গত হয় ইউভি রশ্মি, প্রথমত এই কোটি কোটি বছর হতে জলতে থাকা সূর্যের চারিপাশেই বেস্টনি হয়ে থাকে কিন্তু অতি মাত্রায় যখন গ্যাস জম্র যায় তখনি ঘটে বিপাক। উতলাতে থাকা দুধ কিছু সময় অবদি ফেনা নিজের উপরেই ধারণ করা থাকে কিন্তু একটা সময় পর সেই ফেনা উতলে বাইরে পরে যায় ঠিক অনেক টা এমনই ঘটে সূর্যের সাথে। বেশ কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসও স্থায়ী হতে পারে এই ঝড় । ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় এই অশনি সঙ্কেত দিয়েছে তারা । ১৯২১ সালেও ভয়ংকর সৌর ঝড়ে পৃথিবীর অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছিল। গবেষকরা বলেছেন, ১০০ বছর পর আবারো সেই ভয়ংকর সৌর ঝড়ের মুখো মুখি হতে চলেছে মানব জাতি । বিজ্ঞানিদের ভাষায় ঝড়টির নাম ‘ক্যারিংটন এফেক্ট’।
সোলার ঝড় ও আমাদের পৃথিবী
মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ কুদরতের দারা তিনি এমন ভাবে আমাদের এই পৃথিবী কে বানিয়েছেন যে পৃথিবীর চারিপাশে এক ধরণের ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড কাজ করে। এই ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড এর কারণে পৃথীবির চারিপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রেডিও এক্টিভ তরংগ আমাদের বায়ুমন্ডল এ প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু সোলার ঝড় এর আকার এ যদি এবার অনেক বড় আকার ধারণ করে তবে আমাদের ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ফিল্ড এর পক্ষে আর আমাদের এই পৃথিবীকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
বন্ধ হয়ে যেতে পারে কয়েক সপ্তাহের জন্য সকল ইন্টারনেট ও বিদ্যুত সরবরাহ । কেমন হবে ভাবুন তো যখন পুরো দুনিয়াতে কোনো বিদ্যুত থাকবে না চলবে না কোনো যান বাহন বা আপনার হাত এর মোবাইল ফোন টিও বন্ধ হয়ে পড়ে থাকবে কয়েক সপ্তাহ। খাবার এর সংকট এ মানুষ উনামদ এর মত হয়ে ছুটবে।
মহাবিপদ থেকে প্রতিকার
প্রাকৃতিক এই ঝড়ের কোনো প্রতিকার কোনো মানুষ এর পক্ষে করা সম্ভব নয় তবে পরিস্থিতির সংগে মোকাবিলা করে টিকে থাকতে অবশ্যই চেস্টা করার হাল ছাড়া যাবে না। সম্ভাব্য বিপদ এর সময় এর জন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে। প্রয়োজনীয় খাবার সংগ্রহ করে রাখতে যেমন টা করে পিপড়া দল। ইলেক্টিসিটির বিকল্প হিসাবে রাখা যেতে পারে ইউপিএস আইপিএস ও অন্যান্য ব্যাকাপ জেনারেটর। মেডিকেল আইটেম গুলির দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে কারণ সব থেকে বেশী যে জিনিস টী নিয়ে চিন্তার বিষয় সেটি হলো মানুষ এর জীবন। সম্ভাব্য এই বিপদে মানুষ সকল চেস্টা করার পাশাপাশি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছেও যথাযথ ভাবে দোয়া করে রক্ষা চাইতে হবে । তিনিই সকল বিপদ দেন আবার তিনিই রক্ষা করনে ওয়ালা তাই সব ক্ষেত্রেই তার আনুগত্য প্রকাশ করতে হবে।
অবশেষে আমাদের কে জানান এ বিষয় এ আপনাদের কি মতামত.. এই দুর্যোগ এর জন্য আপনি প্রস্তুত তো ? কমেন্ট করে জানান ও শেয়ার করুন।